দূর্গা পূজা প্রতিমা প্রস্তুতিতে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব উপকরন ব্যবহারের গুরুত্ত প্রচারের উদ্দেশ্যে সাংবাদিক সম্মেলন

শোভাবাজার সংগ্রামী ক্লাব, এ ইউ টি এইচ ‘এন, ইউভিভিএ – সুইচঅন ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় পরিবেশগত সম্পদ ব্যবহারের সমালোচনামূলক বিষয়ে আলোকপাত করার জন্য একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। রোটারি সদনে আয়োজিত এই কার্যসূচী টি – “সীমিত পরিবেশগত সম্পদ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং দুর্গা পূজা প্রতিমা প্রস্তুতিতে পুনর্ব্যবহারের গুরুত্ব” – এর মত গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়োপযোগী বিষয়ে দায়িত্বশীল সম্পদ ব্যবস্থাপনার অতীব প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করার জন্য বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্ট নাগরিকদের একত্রিত করেছিল।

দুর্গাপূজা – পশ্চিমবঙ্গের সর্বাধিক তাৎপর্যপূর্ণ উৎসব যার সাথে জড়িয়ে থাকে – জনগণের অশেষ শ্রদ্ধা ভক্তি, অত্যন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে উদযাপিত হয়। তবে এ বছর শোভাবাজার সংগ্রামী ক্লাব দুর্গাপূজায় নিয়ে এল অনন্য মোড়। এই বছর দুর্গা পূজার প্রতিমা তৈরি করা হবে পুনর্ব্যবহারযোগ্য নয় এমন উপকরণ – যথা ইলেকট্রনিক বর্জ্য ও ধাতব বর্জ্য যেমন ডিভিডি, সিডি, কিবোর্ড, ঘড়ি, সিপিইউ, মনিটর, বাতিল তার এবং আরও অনেক কিছু দিয়ে। এই উপকরণগুলিকে দেশীয় পদ্ধতিতে মণ্ডপসজ্জা ও আলোকসজ্জার কাজে লাগানোর মাধ্যমে কারিগরদের উদ্ভাবনী শক্তি এবং সৃজনশীলতা প্রদর্শনের পথও প্রশস্ত হচ্ছে। এটি জনসাধারণকে সম্পদ পুনঃব্যবহারের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করার এবং ব্যক্তিগত ও সামাজিক উভয় স্তরে পদক্ষেপকে অনুপ্রাণিত করার একটি মাধ্যম ছিল।

সুইচঅন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শ্রী বিনয় জাজু বলেন, “সম্পদ পুনঃব্যবহার হল টেকসই জীবনযাপনের মৌলিক নীতি। পণ্য এবং উপকরণের জীবনচক্র বর্ধিত করে, আমরা কেবল আমাদের পৃথিবীর সম্পদের উপর চাপ কমাই না বরং সবার জন্য একটি স্বাস্থ্যকর, আরও স্থিতিস্থাপক ভবিষ্যতের জন্য অবদান রাখি।”

সংবাদ সম্মেলনে সম্মানিত বক্তা এবং বিশেষজ্ঞ – টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের মুখ্য আধিকারিক শ্রীমতি মানসী রায় চৌধুরী, শোভাবাজার সংগ্রামী ক্লাব-এর মুখ্য আধিকারিক শ্রী প্রবীর মিত্র ও উপ-মুখ্য আধিকারিক দেবুলাল তালুকদার, ৯৪.৩ রেডিও ওয়ান থেকে আর জে অরবিন্দ, সুইচঅন ফাউন্ডেশন থেকে মিসেস রঞ্জিতা ভট্টাচার্য, এ ইউ টি এইচ ‘ এন – এর থিম আর্টিস্ট শ্রীমতি রক্তিমা ব্যানার্জি, পরিবেশগত প্রভাব বিশ্লেষক জনাব মফিজুর রহমান এবং আরও অনেকে যারা ইভেন্টে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা ঐতিহ্যশালী দুর্গাপূজায় পরিবেশগত প্রভাব এবং কীভাবে টেকসই উপকরণ এবং পুনঃব্যবহারের দিকে একটি পদক্ষেপ – একটি পরিবেশবান্ধব এবং আরও দায়িত্বশীল উদযাপনে অবদান রাখতে পারে তার উপর আলোকপাত করেছেন।

দুর্গাপূজা উদযাপনের সময় পরিবেশবান্ধব অনুশীলন গ্রহণের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই সাংবাদিক সম্মেলনের উদ্দেশ্য। এই বছরের থিম – ঐতিহ্য এবং স্থায়িত্বের সংমিশ্রণকে কীভাবে প্রতীকী করে তার অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করার পাশাপাশি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ উদযাপনের মধ্যেও আমরা আমাদের বাস্তুতান্ত্রিক পদাঙ্ক হ্রাস করার উপায় কিভাবে খুঁজে পেতে পারি, তাও দর্শায় ৷

সুইচঅন ফাউন্ডেশন হল পরিবেশবান্ধব পূজায় টেকসই অংশীদার। “আমরা টেকস‍ই উপহার এবং আহার সংক্রান্ত আর্থিক সহায়তা, পরিবেশবান্ধব দুর্গাপূজার জন্য সমাজ মাধ্যমে প্রচার এবং টেকসই পূজা উদযাপন পরিচালনার উদ্দেশ্যে নির্দেশিকা প্রদান এবং পূজাকে আরও টেকসই করতে অংশীদারদের মাধ্যমে জ্ঞান ও প্রচারের ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করছি।

শোভাবাজার সংগ্রামী ক্লাবের চেয়ারম্যান শ্রী প্রবীর মিত্র বলেন, “সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আরও উজ্জ্বল হতে পারে যখন এটি একটি ভাল পরিবেশের জন্য দায়িত্বশীল সম্পদ ব্যবস্থাপনার সাথে হাত মিলিয়ে চলতে পারে।”