১৫ই সেপ্টেম্বর জাতীয় ইঞ্জিনিয়ার্স দিবস পালন করল পশ্চিমবঙ্গের ইঞ্জিনিয়ারদের সর্ববৃহৎ সংগঠন প্রগ্রেসিভ ইউনাইটেড ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। ভারতরত্ন শিক্ষাবিদ এবং বিখ্যাত ইঞ্জিনিয়ার মোক্ষগুন্ডম বিশ্বেশ্বরায়ার জন্মদিনে পালিত হয় জাতীয় ইঞ্জিনিয়ার্স দিবস। কলকাতার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে মহাসমারোহে উদযাপিত হয় দিনটি। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুরসভার মাননীয় মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পি ডব্লিউ ডি -র প্রাক্তন চিফ ইঞ্জিনিয়ার অমিতাভ সেনগুপ্ত, ইসরোর চন্দ্রযান-৩ অভিযানের সঙ্গে সাথে যুক্ত যোগাযোগ প্রযুক্তি বিজ্ঞানী শুভ্রদীপ দে, স্বনামধন্য চিকিৎসক ডা: শংকর দাস, জুডিসিয়াল সেক্রেটারী মাননীয় সিদ্ধার্থ কাঞ্জিলাল, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অনির্বাণ মুখার্জি ও ফুটবলার শিশির ঘোষ।
ইঞ্জিনিয়ার্স ডে উদযাপনের অংশ হিসাবে ‘দেশ গঠনে ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকা’, ‘উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার’, ‘টেকসই উন্নয়ন’ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন কারিগরি বিভাগের প্রায় ৭০০ জন সর্বস্তরের ইঞ্জিনিয়ার এদিন উপস্থিত ছিলেন এবং সংগঠনের তরফ থেকে তাঁদের প্রত্যেককে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সমস্ত দপ্তরের মুখ্য বাস্তুকার সহ সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তিবর্গকে সম্বর্ধিত করা হয়েছে।
প্রগ্রেসিভ ইউনাইটেড ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল শ্রী সুব্রত ঘোষ জানাচ্ছেন যে সংগঠন সদস্যদের চাকুরিগত জীবনের দাবিদাওয়া নিয়ে শুধুমাত্র থেমে থাকে না। সারাবছর বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্ম যেমন জেলায় জেলায় রক্তদান শিবির, দুঃস্থ এবং মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, অনাথ আশ্রমের বাচ্চাদের পোশাক বিতরণ, বৃক্ষরোপণ সহ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে কম খরচে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকাঠামো উন্নয়ন করা যায়, সেই ব্যাপারে বিভিন্ন কর্মশালা আয়োজন করে থাকে। সমাজের পরিকাঠামো উন্নয়নে ইঞ্জিনিয়ারগনের যে অবদান, সেই অবদানকে সমগ্র জাতির সামনে তুলে ধরার জন্য এই বিশেষ দিনটিকে তারা স্মরণীয় করে তুলতে চায়।
অতিথি শিল্পী হিসাবে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বাংলা জীবনমুখী গানের অন্যতম স্রষ্টা সঙ্গীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী।