৮ আগস্ট মঙ্গলবার কলকাতার তাজ বেঙ্গল হোটেলে ভারত – ইংল্যান্ড ভবিষ্যত সম্পর্কের এক কর্মসূচির ভিত্তিতে ‘সাইবার সিকিউরিটি রোডম্যাপ ২০২৩’ শীর্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল। সম্মেলনের আয়োজক আই-সাইবার ডিফেন্স ও ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশন, কলকাতা। সম্মেলনে আমন্ত্রিত বিশিষ্ট অতিথি ও বক্তার মধ্যে ছিলেন রাজ্যের তথ্য-প্রযুক্তি দপ্তরের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। বক্তাদের তালিকায় ছিলেন ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার (পূর্ব) নিক লো, আই-সাইবার ডিফেন্স-এর আন্তর্জাতিক প্রধান দীপ্তেশ সাহা।
কেন্দ্রীয় সরকারের লুক ইষ্ট কর্মসূচির অন্তর্গত আগামী ২০৩০ লক্ষ্যমাত্রায় সাইবার ক্রাইম ও প্রতিরোধ নিয়ে একটি সচেতনতা প্রকল্প গৃহীত হয়েছে ভারত ও ইংল্যান্ডের প্রশাসনিক স্তরে। এই উপলক্ষে এদিনের সম্মেলনে প্রত্যেক বক্তা সাইবার ক্রাইম প্রতিহত করার জন্য সাধারণ নাগরিক ও প্রশাসনিক স্তরে বিশেষ করে কলকাতা পুলিশ বাহিনীকে প্রযুক্তিগতভাবে পারদর্শী করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।
সমীক্ষা বলছে বিশ্বে এখন প্রতি ৩৯ সেকেন্ডে একটি সাইবার অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। এ রাজ্যেও সাম্প্রতিক কালে সাইবার অপরাধের সংখ্যা বেড়েছে। অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক সংস্থা আই-সাইবার ডিফেন্সের পক্ষে জানানো হয়, গত পাঁচ বছরে কেন্দ্র-রাজ্য ডিজিটাল রুপান্তকরণে একটি পরিকল্পনা সফল ভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই মুহূর্তে সরকারি তরফে নতুন প্রজন্মের উদ্যোগী ব্যবসায়ীদের যেমন উৎসাহিত করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে সাইবার ক্রাইম কমাতে সচেতন করার প্রয়োজনীয়তাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে নতুন উদ্যোগী ব্যবসায়ীরা বিশ্বময় তাঁদের বিস্তার ঘটানোর সুযোগ পাচ্ছেন। আর এই জন্যই দরকার ডেটা সিকিউরিটি প্রোটেকশন ও গোপনীয়তার নিশ্চয়তা। এটা সুসংহতভাবে করা যায় পিপিপি মডেলে।
কলকাতা পুলিশ সাইবার সুরক্ষার ক্ষেত্রে এখন প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত। তবে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি যত আধুনিক হচ্ছে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কলকাতা পুলিশকে পরিকাঠামোগত আরও উন্নত হওয়ার প্রয়োজন। শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতা নয়, ব্যবহারিক ক্ষেত্রেও তার প্রয়োগ সম্পর্কে সচেতনতামূলক শিক্ষার প্রয়োজনেই এই সম্মেলন।