গাছ দত্তক নিয়ে অভিনব বনমহোৎসব পালন করল প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা

সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে চলতি সপ্তাহে পালিত হল বন মহোৎসব ২০২৩। এবার বনমহোৎসবে গাছেদের সাথে এক অভিনব আত্মীয়তার অঙ্গীকার পালনে এগিয়ে এলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল সার্ভিস স্কিম (NSS) এবং পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের যৌথ উদ্যোগে ১৯, ২০ এবং ২১ শে জুলাই যথাক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের চকগড়িয়া, মোহনপুর এবং বেলগাছিয়া ক্যাম্পাসে আড়ম্বরের সাথে পালিত হলো বনমহোৎসব -২০২৩। ছাত্র, শিক্ষক, আধিকারিক থেকে কর্মচারীদের আগ্রহ এবং উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের বুকে গাছের চারা দত্তক নেওয়ার মতো এক নতুন ধারণার জন্ম দিয়ে আয়োজকেরা সর্ব স্তরের মানুষের মধ্যে পরিবেশকে বাঁচানোর যেমন বার্তা দেন তেমনই শুধু যে বৃক্ষ রোপনেই থেমে থাকলে হবে না, রোপিত গাছকে স্বযত্নে লালন পালন ও করতে হবে তারও উদাহরণ সৃষ্টি করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত সমস্ত স্তরের ব্যক্তিবর্গ মোট ১০০ টি বিভিন্ন জাতের চারা গাছ রোপন করেন এবং গাছ গুলোকে বড় করে তোলার দায়িত্ব নেন। এছাড়া তিন ক্যাম্পাসের ছাত্রদের মধ্যে “প্রকৃতি” থিমের উপর এক ডিজিটাল স্থিরচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় এবং তিন অনুষদেরই প্রথম তিন প্রতিযোগীকে পুরস্কৃত করা হয়। ছাত্রছাত্রীদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি এবং উল্লাসে প্রদর্শনীকক্ষ মূখরিত হয়ে ওঠে।

তিনদিনের ধারাবাহিক এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক পার্থ দাস, মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক শ্যাম সুন্দর দানা, প্রাণী চিকিৎসা এবং প্রাণী বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও NSS কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক শুভাশিস বটব্যাল, ডেয়ারী টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক এস বাগ, বিজ্ঞান মঞ্চের কলকাতা জেলা কাউন্সিল সদস্য অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দাস সহ আরো অনেক বিশিষ্টজনেরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান সভার সভাপতি ও সম্পাদক অধ্যাপক প্রবাল ঘোষ ও অধ্যাপক রিপন বিশ্বাস সকলকে অভিনন্দন জানান।