এ বং পজিটিভ নাট্যদলের নতুন উদ্যোগ ‘নাজিয়া’। মূলত যৌনকর্মীদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ওপর নির্ভর করেই এই নাটক। এই নাটকটি সম্পূর্ণ ডিভাইস ফর্মে তৈরী করা একটা এক্সপেরিমেন্টাল নাটক। বাপ্পা নাটকের পরিচালক, তিনি এক অন্য প্রসেসের মধ্য দিয়ে নাটকটি সাজিয়ে তুলেছেন, তার সাথে মিউজিক,কোরিওগ্রাফি, আলো, পোশাক এই সবকিছুই নাটকের ভাবধারাকে তরান্বিত করেছে।
পতিতা ও যৌনকর্মীদের অন্ধকার জগত যুগের সঙ্গে সঙ্গে শিল্পীদের অনুপ্রাণিত করেছে। মহান সৃষ্টি সত্ত্বেও তাদের বাস্তবতা প্রতিনিয়ত অবহেলিত হয়েছে। এই জগতসংসারে তাদের বিরাট ভূমিকা আমরা উপেক্ষা করে চলেছি।এমনই একজন অবহেলিত মেয়ে হল নাজিয়া, যার হৃদয় অমায়িক এবং স্বপ্ন তার চেয়েও বড়। কিন্তু সে তার প্রেমিকের হাত ধরে প্রতারিত হয়ে এই কর্মযজ্ঞে সামিল হয়ে গেছে। তবে এ গল্প শুধু নাজিয়ার নয়। তার হাত ধরে ১৩ টি মেয়ের ভিন্ন ভিন্ন জীবন নিয়ে এই গল্প। বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে যৌন ব্যবসায় নিযুক্ত প্রত্যেকটি মেয়ে তাদের স্বাধীন ইচ্ছায় লিপ্ত, আজ বদলে দিয়েছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বর্বরাতার রূপ কে….
বাপ্পা তার প্রতিটি কাজের মধ্য দিয়েই সমাজের কালো দিক গুলিকে তুলে আনার চেষ্টা করে থাকেন তা সিনেমা হোক বা নাটক, আবারও তার চেষ্টা সফলতা পাক সেইটাই আমাদের কামনা।
আমন্ত্রণ জানাচ্ছি তার মুক্তির গল্পকে অনুভব করার জন্য। আমরা সোনাগাছির সংকীর্ণ পথগুলিতে স্পটলাইট ফেলে প্রকাশ করতে চলেছি আমাদের নতুন উপস্থাপনা : নাজিয়া, প্রতিবাদের ভাষা নিয়ে নতুন শহর গড়তে আসছে নাজিয়া।
আগামী ১৫ই এবং ২৯শে জুলাই যথাক্রমে গিরিশ ও মিনার্ভা তে উপস্থাপিত হবে। আবারও বাপ্পার থেকে এক অন্যধারার কাজ দেখার জন্য বাংলা থিয়েটারের দর্শক মুখিয়ে থাকবেন। এই ধরণের এক্সপেরিমেন্টাল কাজ আরও হোক বাংলা মঞ্চে, এই তরুন তূর্কীরাই আগামীর প্রতীক হিসেবে নিজেদের মেলে ধরুক নাজিয়া মধ্য দিয়ে।