২৫ বৈশাখ, নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল নব নালন্দার রবীন্দ্র স্মরণ। প্রতি বারের মতো এবছরেও কবি প্রণাম অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন নব নালন্দার অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী এবং স্বনামধন্য শিল্পীরা। সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত চলে এই কবি প্রণাম অনুষ্ঠান। নব নালন্দার অগণিত ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্রাক্তনীরা মিলে পরিবেশন করেন নৃত্যগীতানুষ্ঠান রাঙা মাটির উৎসব।
অতিথি শিল্পীদের মধ্যে অংশগ্রহণে ছিলেন ব্রততী বন্দোপাধ্যায়, সৈকত মিত্র, প্রবুদ্ধ রাহা, চন্দ্রাবলী রুদ্র দত্ত, প্রণতি ঠাকুর, রিনি বিশ্বাস, সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়, ইমন চক্রবর্তী, শমীক পাল, শীর্ষ রায়, অরিত্র দাশগুপ্ত, সৈকত শেখরেশ্বর রায়, সিসপিয়া ব্যানার্জী, দেবাদৃত চট্টোপাধ্যায়, অ্যারিনা মুখার্জী, সাম্য কার্ফা, অদিতি গুপ্ত প্রমুখ। পরিবেশিত হয় নব নালন্দা সঙ্গীত শিক্ষায়তন ও নব রবি কিরণ এর সম্মেলক গান। নৃত্যগীতি আলেখ্য সামান্য ক্ষতি, মুক্ত বিহঙ্গ। পরিবেশিত হয় ‘ঋতুর পর ঋতু’ নৃত্য-গীতি আলেখ্য। সিন্থেসাইজার ও এস্রাজ সহযোগে অর্কেস্ট্রা। এছাড়াও মঞ্চস্থ হয় শ্রুতিনাটক গোড়ায় গলদ।
নব নালন্দার অধ্যক্ষ অরিজিৎ মিত্র বলেন, “রবীন্দ্রজয়ন্তী হয়ে আসছে অনেক বছর ধরে। ১৯৯৬ সাল থেকে আমরা যার নাম দিয়েছি রবীন্দ্র স্মরণ। তৎকালীন আমাদের পুরনো বিল্ডিংয়ের ছোট্ট মাঠে অনুষ্ঠিত হতো। তারপর সাদার্ন এভিনিউতে নালন্দা ভবনের সামনে যে বুলেভার্ড সেখানে অনুষ্ঠিত হয় রবীন্দ্রজয়ন্তী। রবীন্দ্র সদন, জোড়াসাঁকোর অনুষ্ঠানের সঙ্গে তুলনা হতো নব নালন্দার রবীন্দ্র স্মরণ অনুষ্ঠানের। সবাই মুখে মুখে বলতো এই অনুষ্ঠানের কথা। এ বছর আমরা জায়গা পরিবর্তন করেছি নানান কারণে। এবছর সারাদিনব্যাপী অনুষ্ঠান হল নজরুল মঞ্চের শীথাতপনিয়ন্ত্রিত অডিটোরিয়ামে। সারাদিন এভাবেই আমরা হইহই করে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে কাটালাম। কারণ রবীন্দ্রনাথ আমাদের গৃহ আর আমরা সেই গৃহের গৃহস্থ”।