শিশুমনের উপর মোবাইলের খারাপ প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করতে ও শৈশবকে মোবাইল দৈত্যের কবল থেকে মুক্ত করে বিকল্প সৃজনশীলতার পথ দেখাতে ‘খোলা মনে রঙ বেরঙে’ শীর্ষক বই লিখেছেন শ্রীমতি শিল্পী চক্রবর্তী। ১৫ মে কলকাতা আইসিসিআর যামিনী রায় অডিটোরিয়ামে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় মোড়ক উন্মোচন করলেন বইটির।
বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থ বিভাগের দুই যুগ্ম আয়োগ অনুপম হালদার ও পাঞ্চালী মুন্সী, অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী, দক্ষিণেশ্বর ভবতারিণী কালী মন্দিরের অছিপরিষদ-এর কর্ণধার কুশল চৌধুরী সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
বাচ্চাদের উপর মোবাইলের কুপ্রভাব এই বইয়ের মূল আলোচ্য বিষয়। লেখিকা শিল্পী চক্রবর্তী জানান, “অনেকদিন থেকেই মনে হচ্ছিল ছোটোদের জন্য কিছু লিখি। ওদের মন ছোঁওয়ার একটু চেষ্টা করি। একটু ওদের কথা জানি। অনেক বিশিষ্ট, গুণী ও সাধারণ ব্যক্তি আমার এই প্রয়াসকে সাধুবাদ দেন ও উৎসাহিত করেন। আমার কোথায় জানি মনে হচ্ছিল ছোটোরা বোধহয় কোনো বেড়াজালে আটকে গেছে। তাদের সহজাত প্রবৃত্তির বোধহয় সঠিক বহিঃপ্রকাশ হতে পারছে না। এর একটি প্রধান ও অন্যতম কারণ অবশ্যই মোবাইল। শুধুমাত্র অনুমানের উপর ভিত্তি না করে আমি বেশ কয়েকজন বাচ্চার মতামত বা মনের কথা জানার চেষ্টা করেছি এবং তাদের যা বক্তব্য সরাসরি এখানে তুলে ধরেছি। এই ছোটোদের মধ্যে মুম্বাই, কলকাতা থেকে শুরু করে মফস্সল বা গ্রামাঞ্চলের ছাত্র ছাত্রীরাও আছে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ ভাবে অভিনন্দিত করা হয় কিশোর সহস্রাংশু পাত্র-কে। করোনা অতিমারীতে লক ডাউন চলাকালীন ভার্চুয়াল মাধ্যমে পঠনপাঠন ও অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করতে করতে চোখের সমস্যা তৈরি হয় এই পড়ুয়ার। বর্তমানে মোবাইল থেকে সহস্র যোজন দূরে থাকতেই পছন্দ করে এই কিশোর। শিশুদের বক্তব্য ছাড়াও বইটিতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের কিছু বিশিষ্ট মানুষের মোবাইল সম্পর্কে মতামত তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও বইটিতে আছে শিল্পী চক্রবর্তীর নিজের লেখা বেশ কিছু কবিতা ও ছড়া।